নিজস্ব প্রতিনিধি, উত্তরবঙ্গঃ বগুড়ার জামিলনগর এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে এক ভুয়া চিকিৎসকে তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন। রোববার এই অভিযানটি পরিচালনা করেন বগুড়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী হাকিম ও সহকারি কমিশনার মারুফ আফজাল রাজন।
বগুড়া শহরের জামিলনগর এলাকায় তাহসিন ফার্মেসিতে তিনি ২ বছর ধরে রোগী দেখে আসছিলেন। নিজেকে শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ বলে দাবি করা ভুয়া চিকিৎসকের নাম মো. তানভীর হাসান। তবে তার এই দাবীর সপক্ষে তিনি কোনো সনদ দেখাতে পারেননি। ।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায় যে, সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) কাছে গোপন তথ্য আসে বগুড়ার জামিলনগর এলাকায় একজন ভুয়া চিকিৎসক রোগী দেখছেন। তিনি শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে রোগী দেখছিলেন। এই তথ্য কিছুদিন ধরে যাচাই করে এনএসআই। তারা জানতে পারেন, তানভীর হাসানের আসলে কোনো সনদ নেই। তিনি ভুয়া চিকিৎসক। এই ঘটনার পরে রোববার সন্ধায় সেখানে জেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই ভুয়া চিকিৎসকে ৩ মাসের কারাদণ্ড দেন। এ সময় এনএসআই, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে তানভীর সম্পর্কে জানা যায় সে এর আগে বগুড়ার দুপচাঁচিয়া এলাকায় ভুয়া ডিগ্রি ও কাজগপত্র ব্যবহার করে তিন বছর ধরে চিকিৎসা করেছেন। সেখানেও তিনি ধরা পরেন এবং মুচলেকা দিয়ে দুপচাঁচিয়া এলাকা ছেড়ে আসেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী হাকিম মারুফ আফজাল রাজন দৈনিক প্রত্যয় কে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জামিলনগরের এই ফার্মেসিতে অভিযান পরিচালনা করি। অভিযানে ভুয়া চিকিৎসককে পাওয়া যায়। এদিকে শেষ পর্যন্ত উক্ত চিকিৎসকও ভুয়া ডিগ্রি ও কাজগপত্র ব্যবহার করে চিকিৎসা দিয়ে আসছিলো বলে স্বীকার করেছেন।